জাহান বিপ্লবঃ রাজশাহীর দুর্গাপুরে দীর্ঘ চার বছর পলাতক থাকা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রবিউল অবশেষে দুর্গাপুর থানা পুলিশের হাতে আটক।
দুর্গাপুর থানার কিসমত গনকৈড় ইউনিয়ন এর জনৈক আয়েজ উদ্দিন এর ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫) পেশায় ছিলেন একজন দিন মুজুর। রবিউল ইসলাম ও তার পিতা মিলে হাড়ভাংগা খাটুনি খেটে যে আয় করতেন সেখান থেকে খরচ বরচ শেষে কিছু সঞ্চয় করতেন। সঞ্চয়ের টাকায় বহু প্রতিক্ষিত বিঘা চারেক জমিও কেনেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার।
এক পর্যায়ে রবিউল এর লোভ বেড়ে যায়। রবিউল বড় লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সামান্য চালান নিয়ে বড় বড় পুকুর বাকিতে লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করে। ব্যাংক চেক জমা দিয়ে বাকিতে মাছের খাদ্য কেনেন। ব্যাংক চেক জমা দিয়ে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে পুকুর লিজের টাকা শোধ করেন। আর ভাবতে থাকেন মাছ বিক্রি করে ঋন মেটাবেন।
রবিউল ঘামের টাকায়, ঋনের টাকা তিলে তিলে বড় করা মাছ বেশি দামে বিক্রির আশায় নিয়ে যান ঢাকার আড়তে। কিন্তু আড়তদার বেশি দামে মাছ কিনে নগদে দাম না মিটেয়ে রেখে দেন বাকি। এই ভাবে এক সপ্তাহের মাথায় রবিউল এর পাওনা ৭০০০০০০/- (সত্তুর লক্ষ) টাকা নিয়ে আড়তদার পালিয়ে যান। রবিউল আড়ত দারের নাম ঠিকানা কিছুই জানেন না। রবিউল পড়েন মহা বিপদে৷ টাকা উদ্ধার করতে না পেরে রবিউল তার পূর্বের ক্রয়কৃত চার বিঘা জমি বিক্রয় করে আংশিক ঋন মেটান। কিন্তু তাতেও রবিউল প্রায়শ্চিত্ত শেষ হয় না। রবিউল ঋনের চাপে বউ বাচ্চা নিয়ে পালিয়ে যান। আর পাওনাদারেরা টাকা না পেয়ে রবিউল এর দেয়া চেক দিয়ে করেন মামলা।
এরুপ চারটি মামলায় তার নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলতবি ছিল ০৪ বছর যাবত। একটিতে আবার সাজাও হয়ে যায়। দীর্ঘ চার বছর পলাতক থাকার পর রবিউল কে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দীর্ঘ চার বছর পলাতক থেকেও রবিউল তার খুব দ্রুত বড় লোক হওয়ার লোভের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে নি। পারা সম্ভবও না।