8.3 C
New York
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রাসিক মেয়র লিটনের সাথে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এর বৈঠক

নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আম আকৃতির শুভেচ্ছা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন রাসিক মেয়র। এ সময় রাসিক মেয়রকেও উপহার দেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, চায়না বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত বন্ধু প্রতীম একটি দেশ এবং অন্যমত প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। অধিকাংশ বড় বড় অবকাঠামোগুলি তাদেও কোম্পানি বা তদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই নির্মিত হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমরা উপকৃত হবো। আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ।

মেয়র আরো বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চায়নার সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তিতে পদ্মা নদীর পানি পাম্প করে গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাটাখালী পৌরসভা, নওহাটা পৌরসভা এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। সেটার বিষয়ে সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে। সবশেষ একটা স্বাক্ষর হলেই চায়নিজ এক্সিম ব্যাংক প্রথম কিস্তিটি ছাড় করবে।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সলিড বর্জ্য যেগুলো আমরা ট্রিটমেন্ট না করে ফেলে দেই। সেগুলো সারা বিশে^ টিটমেন্ট করে রি-ইউজের মাধ্যমে জ¦লানী ও জৈবসার তৈরি করা হয়। আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চীন সরকার ও সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে পাবলিক প্রাইভেট পাটনার শিপের মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একই সাথে শহরের যত বর্জ্য পানি তা ড্রেনের মাধ্যমে বাইরে দিয়ে দেই। তবে তা ট্রিটমেন্ট করে কৃষি কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার বিষয়য়েও কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা প্রস্তাবনা চেয়েছে।

রাসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জুুটমিল, সুগারমিল টেক্সটাইলমিল কন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এগুলো চায়না সরকারের সাথে চুক্তি করে ইজারা ভিত্তিক দেয়ার মাধ্যমে নতুন করে পরিচালনা সুযোগ করা হয়। তারা বলেন, চায়না প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সরকার যতি প্রস্তাব দেয় তবে তারা তা গ্রহণ করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, রাজশাহীতে খুব স্বল্প সময়ের জন্য সফরে এসেছি। এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী নগরী ঘুরে আমি মুগ্ধ হয়েছি। রাজশাহী গ্রিন এবং ক্লিন সিটি। এই শহরের খুব উজ্জল ভবিষ্যত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিভাগের পাবনায় অবস্তিত ইপিজেডে চায়নার ৫টি কোম্পানি কাজ করছে। এছাড়া আরও ৬টি কোম্পানি আসছে। আরও কোম্পানি বাংলাদেশের এই অংশে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহী। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো পরিবেশ থাকায় আমরা আগ্রহী হচ্ছি। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে চায়না সরকারের অবদান ও সম্পৃক্ততার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। উভয় দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরও সুদৃঢ় হবে।

এরআগে চীনের রাষ্ট্রদূতের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ। বর্ণাঢ্য আয়োজনে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বরণ করে নেওয়া হয়।

এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, প্যানেল মেয়র-৩ তাহেরা খাতুন মিলি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিন, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, জোন কাউন্সিলর উম্মেল সালমা বুলবুলি, আয়েশা খাতুন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং এডভাইজার আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

error: Content is protected !!

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading