
আপেলমাহমুদ রাঙ্গা, বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৫ নং আউচপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ডিএম শাফিকুল ইসলাম শাফি’র উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীর দাউলির আঘাতে চেয়ারম্যান আহত হন। পরে চেয়ারম্যানের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ইটভাটায় হামলার ঘটনাও ঘটে। ইটভাটায় চেয়ারম্যানের চেম্বার ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় ভাটায় কর্মরতরা হামলাকারী ইটভাটা সংলগ্ন বিষ্ণপুর গ্রামের শামসুল ইসলাম (৫০) কে মারধর করা হয় বলে প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিষ্ণপুর গ্রামের একতা ব্রিকস ইটভাটায় এঘটনা ঘটে। আহত হামলাকারীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল ইসলাম চেয়ারম্যানকে আটকের জন্য চেষ্টা করেন বলে চেয়ারম্যান নিজেই জানায়।
এবিষয়ে উপপরিদর্শক মাজেদুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ছিলাম না রাজশাহীতে ছিলাম। আমি জানিনা, আপনি ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন বলেই ফোন কেটে দেন। পক্ষান্তরে এঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলেন নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনের আগে রক্ষিতপাড় গ্রামের আল-আমিন বিশ্বাস (আলাল) কে হত্যার চেষ্টা করেন হামলাকারীর জামাই মো. রেজাউল ইসলামসহ অনেকে। এঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি রয়েছেন মো. রেজাউল ইসলাম।
আহত চেয়ারম্যান শাফিকুল ইসলাম শাফি বলেন, আমার ইটভাটার মাটি সরাতে গিয়ে হামলাকারী শামসুল ইসলামের জমিতে কিছু মাটি পড়ে। এতে শামসুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। বিষয়টি আমি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করেছি। তিনি আমাকে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। এরিপোর্ট লিখা পর্যন্ত অভিযোগ প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান শাফিকুল ইসলাম শাফি।
তিনি আরো বলেন, আমি ইটভাটা থেকে চলে গেলে হামলাকারীর জামাই ইন্দ্রপুর গ্রামের মো. রেজাউল ইসলাম ও বিষ্ণপুর গ্রামের আলতাব হোসেনসহ কয়েকজন এসে আমার চেম্বার ভাংচুর করেছে। এসময় আমার লোকজনদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।