Tuesday, May 30, 2023

রাজশাহী নগরীতে এক টাকায় রোগী দেখেন ডাক্তার সুমাইয়া

আকাশ সরকারঃ যে যুগে ফকিরে ভিক্ষা নেইনা খুচরা পয়সা সে যুগে মিলছে এক টাকায় চিকিৎসা সেবা। রোগী দেখছেন এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি রাজশাহীতে এক টাকা ভিজিটে মিলছে চিকিৎসা সেবা । সময় নিয়ে রোগীর সমস্যা ও অসুবিধার কথা জেনে প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি পরামর্শও দিচ্ছেন এই নারী চিকিৎসক।

২০১৫ সালে রাজশাহীর নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ডাঃ সুমাইয়া। বড় চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তার তবে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না পেলেও বুনতে থাকেন স্বপ্নের জাল। এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে। সম্প্রতি এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্ন শেষ করেছেন তিনি। প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আর এর পাশাপাশি করছেন মানুষের জনসেবা।

তার বাবার ইচ্ছা পূরণে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহীর মেয়ে সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল। রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজারে একটি ওষুধের দোকানে প্রাথমিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। সেখানেই তিনি প্রতি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগী দেখছেন।

এ বিষয়ে সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল ঢাকা মেইলকে বলেন, মূলত আমার বাবার ইচ্ছে ছিল যে আমি যেন জনসেবামূলক কিছু একটা করি। ফ্রিতে মানুষের ট্রিটমেন্ট দেওয়া বা এরকম কিছু করাতে চেয়েছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় এই জনসেবামূলক কাজটি আমি শুরু করেছি। ইচ্ছে আছে, যতদিন আল্লাহর রহমতে বেঁচে থাকি চালিয়ে যাওয়ার।

তবে হয়নি বেশি দিন পাঁচ দিন পার হয়ে ছয় দিন চলছে রোগী দেখা নগরীর বিভিন্ন জাগায় লিফলেট মারলেও সাড়া ফেলেছেন তার ফেসবুক পোস্টে।

এই পোস্ট করার পর থেকে অনেকেরই তাকে কল দিচ্ছেন , অনেকে মেসেজও করেছেন । অনেকে সাধুবাদ জানাচ্ছে, এগিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে

তিনি বলেন আমার বাবার ইচ্ছে ছিল যে আমি যেন জনসেবামূলক কিছু একটা করি। ফ্রিতে মানুষের ট্রিটমেন্ট দেওয়া বা এরকম কিছু করাতে পারি এই জনসেবামূলক কাজটি আমি শুরু করেছি। ইচ্ছে আছে, যতদিন আল্লাহর রহমতে বেঁচে থাকি চালিয়ে যাওয়ার

সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল, চিকিৎসক
ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আল্লাহ দিলে যদি চান্স হয় আর দূরে কোথাও পোস্টিং হয় তাহলে সপ্তাহে অন্তত একদিন করে হলেও এখানে রোগী দেখবো। আর পোস্টিং যদি আশেপাশে কোথাও হয় তাহলে অন্তত সন্ধ্যার পর রেগুলার রোগী দেখা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো প্রতিবন্ধকতা আসবে কি না সেটা নিয়ে এখনও ভাবা হয়নি। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা আসলে তখন ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে কি করা যায়।

রাজশাহী বিভাগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়