9.5 C
New York
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রাজশাহীতে তিন দিনব্যাপী সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলা শুরু

নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে তিন দিনব্যাপী সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

উদ্বোধক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের (অব.) অধ্যাপক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ রবীন্দ্রগবেষক ও অর্থনীতিবিদ সনৎ কুমার সাহা। উদ্বোধন শেষে সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিরা। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রবন্ধ পাঠের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এঁর সভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী ঐতিহাসিকভাবে শিক্ষা-সংস্কৃতির ধারক, সাহিত্য-শিল্প বিকাশের পুরোধা। এদেশের পটভূমিকায় বারেন্দ্রীয় ঐতিহ্য লালিত শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহীর প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত।

এছাড়াও প্রাচীন বাংলা থেকেই শিল্প ও সাহিত্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এক্ষেত্রে অসংখ্য প্রতিভাবান ও নিবেদিত প্রাণ লোকান্তরিত মানুষ স্ব-স্ব অবদানের জন্য স্মরনীয় হয়ে আছেন। অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়, রমা প্রাসাদ চন্দ, স্যার যদুনাথ সরকার, রজনীকান্ত সেন এঁর মতো ক্ষণজন্মা পুরুষের ধাত্রী শহর রাজশাহী।

শিক্ষা নগরী হিসেবে রাজশাহী শহর সর্বাধিক খ্যাত’ উল্লেখ করে রাসিক মেয়র বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। সমকালীন মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি সাহিত্যের আয়নায় মূর্ত হয়ে উঠে। সাহিত্যের প্রধান উপজীব্য মানুষ। এছাড়াও লোকসাহিত্য লোক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা প্রকার ছড়া, গম্ভীরা, কবিগান, আলকাপ, বারমাসি দ্বারা রাজশাহীর লোকসাহিত্য পূর্ণ। এই শহরে রয়েছে দেশের প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা বরেন্দ্র জাদুঘর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) এ.এম.এন মইনুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বিজয় বসাক। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলা’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ্য পূর্বক সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, এই মেলার মাধ্যমে সাহিত্যের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি স্থানীয় সাহিত্যিকদের সাহিত্য কেন্দ্রীয় সাহিত্যে একীভূত করতে চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই লক্ষ্যে তিনি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাই রাজশাহী জেলায় অবস্থানরত কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সাহিত্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই জেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক কবি-সাহিত্যিক ও লেখক আছেন, তাদের সাহিত্যকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায় দিতে হবে। তাই যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, সংগ্রহ-সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, কবি-সাহিত্যিকরা সমাজের পথ প্রদর্শক। বাংলা ভাষার সাহিত্য বাঙালি কবি লেখকদের হাতে ক্রমাগত সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষা নিয়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম হয়েছে। ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি আজ বিশ্বব্যাপী।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলা সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ। বাংলা সাহিত্য হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে। তাই সাহিত্যের প্রতি আরো নজর দিতে হবে। এ সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলার মধ্য দিয়ে কবি-সাহিত্যিক ও লেখকদের সাহিত্য চর্চার সুযোগ বাড়বে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে এ মেলার আয়োজন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এতে প্রায় দুই হাজার কবি ও সাহিত্যিকের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি মেলা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জানুয়ারি।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading