
আকাশ সরকারঃ মুক্তযুদ্ধকালীন ৭ নং সেক্টরের ৪ নং সাব-সেক্টরের চীফ মেডিকেল অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক আর নেই ।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় নিজ বাসভবনে বার্ধক্য জনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
তিনি রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি এলাকার মরহুম (ডাঃ আজিজুল হক) হাজী ডাক্তারের বড় ছেলে এবং সিটি ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি আলহাজ্ব জিয়াউল হক বুলু’র বড় ভাই। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, তিনি ছিলেন সমাজসেবক ও চিকিৎসক, লায়ন্স আই হসপিটাল রাজশাহী এবং ডায়াবেটিক কল্যাণ কেন্দ্র রাজশাহীর প্রতিষ্ঠাতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সাব-সেক্টরের চীফ মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র এবং পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকায় ৩২ বছর আগে তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত ডায়াবেটিক কল্যান কেন্দ্রে চেম্বারে রোগী সেবা করে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। পেশাগত অভিজ্ঞতায় নানা জটিল রোগের চিকিৎসা দিয়ে সফল হয়েছেন সবসময়েই। নামমাত্র ফি নিয়ে রোগী সেবা করায় স্বল্প আয়ের ও নিম্নবিত্ত মানুষের কাছে তিনি ছিলেন অত্যান্ত জনপ্রিয় একজন ডাক্তার। রোগীর আর্থিক অবস্থা আন্দাজ করে তিনি মাত্র ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ফি নিয়েছেন শেষদিন পর্যন্ত ।
মরহুমের জানাজা নামাজ রবিবার বাদ আছর টিকাপাড়া কবরস্থান ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব ওনার প্রদর্শন করা হয় টিকা পড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
তাঁর মৃত্যুতে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহানগর জাসদ, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শোক জানিয়েছেন।