10.1 C
New York
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

কাপাশিয়ায় হতে যাচ্ছে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার-CRP

আকাশ সরকারঃরাজশাহী মহানগরীর মূল ফটকে কাপাশিয়ায় হতে যাচ্ছে CRP পক্ষঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র. প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগে আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাপাশিয়ায় ‘সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার’ স্থাপনের লক্ষ্যে পরিচিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে দান করা ১৫ বিঘা জমির উপর এই পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যার নাম হবে ‘সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার’। কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হলে এখান থেকে প্রতি বছর এ অঞ্চলের ১২ হাজার রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা নিতে পারবে। একই সঙ্গে এখান থেকে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন অকুপেশনাল থেরাপি, বিএসসি ইন স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পরিচিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষের কল্যানে আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও মাতা মরহুমা জাহানারা জামানের নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার ইচ্ছে ছিল।

রাজশাহীতে সিআরপি‘র আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে। এখান থেকে রাজশাহী অঞ্চলের হাজার হাজার অসহায় মানুষ সেবা নিতে পারবেন। মেয়র আরো বলেন, এই পুনর্বাসন কেন্দ্র শুধু চিকিৎসা নয়, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রের গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এছাড়া এই পুনর্বাসন কেন্দ্রকে করে পিছিয়ে পড়া কাটাখালি ও কাপাসিয়া এলাকা এগিয়ে যাবে। সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিআরপি‘র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ড. ভেলরী এন টেইলর। তিনি তাঁর বলেন, সিআরপিকে মূল্যবান ৫ একর জমি দানের মহতি উদ্যোগে মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর পরিবারকে সিআরপি‘র পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ড. ভেলরী এন টেইলর বলেন, ‘সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টার’ হবে আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র। মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এখানে পরিপূর্ণ পুনর্বাসন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এখানে কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি ও সংযোজন, অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হবে।

এই প্রতিষ্ঠার কারণে সাভারে সদর দপ্তরের উপর চাপ কমে যাবে। সিআরপি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান পরিবারের সদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেণী ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সিআরপি বিষয়ক উপস্থাপনা করেন সিআরপি‘র বিএইচপিআই এর প্রিন্সিপাল ডা. মোঃ ওমর আলী সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিআরপি‘র সদস্য মুশতাক আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হাসান, আরএমপি‘র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ বিজয় বসাক, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এনামুল হক, উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান প্রমুখ। অনুষ্ঠানব ক্তব্য দেন কবিকুঞ্জ সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর শামসুদ্দিন আহমেদ খোকন, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এসএমএ মান্নান, সাবেক মহানগর কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম রিপন, কাটাখালি পৌর সভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনোয়ার সাদাত নান্নু প্রমুখ ।

সিআরপি-রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টারে যেসব চিকিৎসা সেবাসমূহ পাওয়া যাবে, সেগুলো হচ্ছে, অপারেশন সেবা। প্যাথলজি ও রেডিওলজি সেবা। অভ্যন্তরীণ সেবার মধ্যে থাকবে মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি পুনবার্সন কেন্দ্র, অটিজম ও সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষায়িত শিশুবিভাগ, স্ট্রোক রোগীদের জন্য পুনর্বাসন ওয়ার্ড, মেডিকেল কনসালটেন্সি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুরেজ থেরাপি, শিশু বিভাগ, ক্লাব ফুট বা মুগুর পা চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় ডে কেয়ার সেন্টার। পুনর্বাসন সেবাসমূহের মধ্যে থাকবে আর্থ-সামাজিক সহায়তা, সমাজভিত্তিক পুনর্বাসন, মনো-সামাজিক কাউন্সিলিং, ক্রীড়া ও বিনোদন। আর সহায়ক ও পুনর্বাসন সামগ্রীর মধ্যে থাকবে প্রস্থেটিক্স এবং অর্র্থোটিক্স (কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন), অর্থোপেডিক সু টেকনোলজি, সাপোর্টিভ সিটিং বিভাগ, হুইলচেয়ার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী। এছাড়াও এখানে গড়ে তোলা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

error: Content is protected !!

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading