Sunday, April 2, 2023

আ.লীগকে ৫ বছর ঘরে বন্দি রেখেছিলেন জিয়াউর রহমান: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

নিউজ রাজশাহী ডেস্ক: জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে পাঁচটি বছর জিয়াউর রহমান ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে মেয়র এসব কথা বলেন।

১৯৭১,’৭৫, সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা সমাবেশে বক্তব্য দেন।

সমাবেশে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের পুত্র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানবাধিকারের ব্যবসা যারা করেন তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করতে চাই, ‘১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা এবং পরবর্তীতে ‘৭৫ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা এবং পরবর্তীতে বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে হত্যা করা, জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে যখন অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?’

মেয়র লিটন বলেন, জাতির পিতার দুই কন্যা যখন দেশের বাইরে অনেক কষ্ট নিয়ে, অনেক দুঃখ নিয়ে, অনেক সমস্যা নিয়ে বসবাস করছিলেন, সেই সময় মানবাধিকারের কথা ওঠে নাই। আমাদের জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে ৫টি বছর জিয়াউর রহমান ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মীরকে গুম-খুন করেছিল। তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?

‘৭৫ এর জেলহত্যা পরবর্তী সময়ের স্মৃতিচারণ করে রাসিক মেয়র বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার ছোট বোনের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে কিছু বুঝত না। আমার বাবার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান তার বাবাকে হারিয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়েছিল, সে শুধু তাকিয়ে দেখত বাবা কোথায়? কেন তার বাবা আসছে না? মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তখন তাদের আমরা দেখি নি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন খুঁজে পান, সেই তথাকথিত সুশীল সমাজকে বলতে চাই, মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোকে আপনারা সাপোর্ট দেন আর ভালো কাজ সেগুলোকে সাপোর্ট দেন না। যখন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে, সেই সময় আপনাদের আমরা পাশে পাইনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার নামে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, যারা নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে চান, বিদেশীদের যারা প্রভাবিত করতে চান, বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে নানা বানোয়াট কথা-বার্তা ও চিঠি দিয়ে যারা বলতে চান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা নেই ও বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে’, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা যদি এটিকে বিরোধী দলকে দমন করা বলতে চান তাহলে বিরোধী দল দিনের পর দিন পদযাত্রা, বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করছে কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ দেশের উন্নয়ন ব্যাহত ঘটাবে, সেটি আমরা জীবন থাকতে হতে দেবো না বলেও হুশিয়ার করেন আওয়ামী লীগ নেতা।

‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসর-আমাদের মানবাধিকারের কি হবে? জবাব চাই’ শিরোনামে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম।

রাজশাহী বিভাগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়