10.1 C
New York
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে,শান্তি সমাবেশে মেয়র লিটন

আকাশ সরকার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি এবং আগামীতেও থাকবো।বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি, চক্রান্ত ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বিএনপি নেতৃত্বের দেউলিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ বিএনপি জানে তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না।বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে বিএনপি পদযাত্রা করছে। এরআগেই দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সমাবেশের নামে তারা পিকনিক করেছে। আপনারা বলেছিলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বাংলাদেশ বিএনপির কথায় চলবে।’কোথায় গেল আপনাদের সেই কথা? এখনো তো শেখ হাসিনায় প্রধানমন্ত্রী আছেন। তাহলে বিএনপির ভাই-বোনেরা আপনাদের মুখ থাকে আর? মুখ রক্ষা করা যায় আর? সেই জন্য বলতে চাই এটিতো পদযাত্রা নয়, শবযাত্রা। এটি মরদেহ নিয়ে, লাশ নিয়ে যাত্রা।বিএনপির ঘাঁড়ের একটি লাশ আছে, সেই লাশটি গত ৭ বছর ধরে বিএনপি টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে। এই লাশটি তারা দাফন করতে চায়। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে, কোন আওয়াজ নেই, কোন স্লোগান নেই, চুপচাপ মানুষ যেমন লাশ নিয়ে যায়, সেভাবে তারা যাচ্ছে। এইভাবে আর যাই হোক বাংলাদেশের সরকারকে, শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটানো কোনদিন সম্ভব নয়।মেয়র লিটন আরো বলেন, আজকে বিএনপির এক নেতা মন্তব্য করেছেন, ‘যেদিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে, আমাদের যদি জানিয়ে দেওয়া হয়, সেদিন আমরা পদযাত্রা কর্মসূচি দেব না।’ বিএনপির সেই নেতাকে উদ্দেশে করে আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকলে আপনাদের অসুবিধা কী? জনগণের জানমালেরর ক্ষতি করতে সুবিধা হয়? দোকানপাট লুটপাট-ভাঙচুর করতে সুবিধা হয়? আগুন দিতে সুবিধা হয়? যেটা আপনারা করেছেন ২০১৪/২০১৫ সালে, সেটা পুরো বাংলার মানুষ জানে, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। সেটি আর হতে দেওয়া হবে না।তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তার সম্পর্কে বলার মতো মানসিকতা আমার নেই, তারপরেও বলতে চাই, ০৮ হাজার মাইল দূরে লন্ডনে বসে থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে আর যাই হোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো যাবে না, ঘরেও ঢোকানো যাবে না। রাজনীতি করার যখন এতই শখ, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যখন এতই লালায়িত, তাহলে আসুন না দেশে, আপনি দাসখত লিখে মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করবেন না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে আপনি ও আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে, আপনাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আদালত প্রক্রিয়া করছে, বাংলার মাটিতে কিভাবে এদের বিচার করতে হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা খুব ভালোমতোই জানেন। জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের হত্যাকারী, রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আর আপনি তো কোন তারেক জিয়া। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই বাংলাদেশের মানুষ, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, আমরা যারা দেশের প্রকৃত ভালো চাই, আমরা যারা আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্তের মূল্য দিয়ে দেশবাসীকে দুইবেলা নয় তিনবেলা খাওয়ানোর চেষ্টা করি, সেই আওয়ামী লীগকে এত হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই।তিনি আরো বলেন, বিএনপি নাকি মে-জুন মাসে আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে, অতদিন লাগবে না, নির্বাচনের প্রস্তুতির মাধ্যমে তাদের সমুচিত দাঁতভাঙ্গা জবাব আওয়ামী লীগ দিবে। আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে, কোন লাভ নাই। তিনি রক্তে মাংসে গড়া মানুষ মনে হলেও তাঁর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইস্পাতের মতো দৃঢ়। যে ইস্পাতকে ধ্বংস করা যায় না, তাঁকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তাঁকে হত্যা সম্ভব হয় নি। দেশ গড়তে ও বাংলার মানুষের উন্নয়নের আরো কাজ বাকি আছে, সৃষ্টিকর্তা তাঁকে দিয়ে সে সকল কাজ করাবেন বলেই তিনি বার বার মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন।তিনি তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরি কিসেঞ্জারের বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়ি মন্তব্যের প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ এখন ফুলে ফলে পরিপূর্ণ একটি জাতিতে পরিনত হয়েছে, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে পরিপূর্ণ, আমরা রপ্তানি করতে পারি, আমরা দেশের বাইরে কোন দুঃস্থ দেশকেও সাহায্য করতে পারি, আমরা শ্রীলঙ্কাকে ঋন দিয়েছি, বাংলাদেশ নেপালকে সাহায্য দিয়েছি। এতে করে প্রতিয়মান হয় যে, হেনরি কিসেঞ্জারের মন্তব্য মিথ্যা বলে প্রমানিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নরপিশাচরা যারা দেশটাকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিনত চায়। তাদের একজন অর্থমন্ত্রী ছিলেন সাইফুর রহমান, বাড়ি সিলেটে। তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তাহলে বিদেশের সাহায্য কমে যায়, এটা কি কোন বিবেকবান মানুষের কথা? এটা কি দেশের আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন মন্ত্রীর কথা হতে পারে? আসলে বিএনপি জাতিকে ভিক্ষুক করে রাখতে চাই যাতে করে বিদেশ থেকে সাহায্য এনে তাদের নেতাকর্মীদের উদরপূর্তি করে হৃষ্টপুষ্ট করতে চাই। দেশ ও জনগণ চুলোয় যাক, এটাই হলো বিএনপি’র রাজনীতি।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি’র ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, তারা যেন দেশে কোন রকম সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নসাৎ করে দিয়ে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

error: Content is protected !!

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading