
নিউজ রাজশাহী ডেস্ক: রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় অসুস্থ এক শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে মারধোর করে স্কুল প্রধানের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে স্কুল কম্পাউন্ডের ভিতরে এ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও তার বাবা। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। এদিকে, স্কুল কম্পাউন্ডে এমন ঘটনায় বিব্রত অভিভাবকরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী বখতিয়ার গালিব ইয়াসির হৃদ রোগে চিকিৎসাধীন থাকার পরে আজ স্কুলে আসলে কৌশলে শিক্ষক নুরুল ইসলাম কিছু ছাত্রদের দিয়ে তার উপরে হামলা করে ও তাদের দিয়ে মিথ্যা অপবাদ (ইয়াবা সেবন) কথা তুলে সেই শিক্ষক নিজেই বিদ্যালয়ের ভিতরে এলোপাতাড়ি মারধোর করে থাকে। পরে আহত শিক্ষার্থী বিষয়টি ফোনে তার বাবাকে অবগত করলে, তার বাবা এসে সন্তানকে হাসপাতালে নিতে চাইলে হামলাকারী ঐ শিক্ষক তার বস মানানো ছাত্রদের দিয়ে ফের হামলা চালিয়ে দুইজনকে মেরে স্কুলের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। তবে এদিন স্কুল প্রধানকে স্কুলে অনুপস্থিত দেখা যায়।
অসুস্থ শিক্ষার্থীর বাবা একই উপজেলার মহব্বতপুর খানপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে স্ট্রোক করেছে, সে অনেক অসুস্থ এটা আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারপরও তারা আমার ছেলেকে মারধোর করেছে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকেও মারধোর করে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, অসুস্থ থাকার কারনে বিদ্যালয়ের ছাত্র গালিব অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুর ইসলামের কাছে পদার্থ বিজ্ঞান পাইভেট না পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে এ হামলা চালিয়েছেন। এছাড়া এমন হিংস মনোভাবের শিক্ষকের আচরনে অতিষ্ট অসংখ্য অভিভাবক।
তারা বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া, শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে ভয়ভীতি দেখানোসহ নানান অনিয়মের একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে অমানবিক ভাবে আটক রাখা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।