সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃসারাদেশব্যাপী বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার(ট্রাফিক ) পয়েন্টে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,কৃষকলীগ,মৎস্যজীবিলীগ,শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশে আসেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও আওয়ামীলীগ নেতা জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু ও জেলা যুবলীগের সদস্য সবুজ কান্তি দাসের যৌথ সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আলী আমজদ,এড. রইছ উদ্দিন,এড. পীর মতিউর রহমান,এড. মো. আব্দুল করিম,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম,এড.চানঁ মিয়া,এড. নজরুল ইসলাম,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, এড. অবণী মোহন দাস,রেজাউল করিম শামীম,জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল,দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মোশারফ মিয়া,এড.সোহেল আহমদ,দিরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায়,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. শোয়েব আহমেদ চৌধুরী,সাধারন সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ অপু ও ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,আওয়ামীলীগ নেতা শংকর চন্দ্র দাস,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,তনুজ কান্তি দে,মনীষ কান্তি দে,জেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান,ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিলন খান,ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোহেল আহমদ,সলুকাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. তপন মিয়া,মো. সাজিদুর রহমান,সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমদ উজ্জল প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেছেন,দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই পাকিস্থানী ভাবধারার বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরকে সাথে নিয়ে পদযাত্রার নামে দেশে অগ্নি সস্ত্রাস ও নৈরাজ্যে সৃষ্টির পায়তাঁরা করছে। তারা শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে ঈষান্বিত হয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করেন। জনগনের শক্তিই বড় শক্তি তাই যতই বিদেশী দূতাবাসে বৈঠক করেন না কেন কোন দেশকে অগ্নিসন্ত্রাসকারকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় বসাবে না। নেতৃবৃন্দরা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে শেখ হাসিনার সৈনিকরা রাজপথে থেকে প্রতিহত করবে বলে ঘোষনা দেন। তারা বলেন,আজ দেশে বিএনপির জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ নাকি ভারত হয়ে যাবে এবং মুসলমানরা নাকি মাথায় টুপির পরিবর্তে ধূতি পড়বে। তাদের এমন অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিটি মানুষকে রাস্তায় নেমে অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন,শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছে। তাছাড়া দেশে পদ্মাসেতু নির্মাণ,চট্রগ্রামে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল,মেট্রোরেল উদ্বোধনসহ অসংখ্য উন্নয়ন করায় তাদের হাতে ঘাঁ লেগেছে। সরকার দেশে গৃহহীনদের জন্য বিনা টাকায় পাকা ঘর নির্মাণ এখন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিনিবাস স্থাপন করার উদ্যোগে বিএনপি জামায়াতের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে,আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে হবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন,আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যেকারীরা বুঝতে পেরেছে দেশের মানুষ তাদেরকে আর ভোট দিবেনা। তাই পরাজয় জেনে দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা করছেন। তারা ভূলে গেছেন বন্দুদের নলে ক্ষমতা দখলকারী বিএনপি নেতারা বলেছিলেন ১০ ডিসেম্বরের পরে দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে,কিন্তু কোথায় গেল তাদের দিবাস্বঁপ্ন। তারা ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্যের প্রচেষ্টায় বোমা ফাটাঁলো,পুলিশের উপর আক্রমন করল এবং গণভবণ দখল করে শেখ হাসিনার সরকারকে হঠানোর নীল-নকশা জনগন প্রতিহত করে দিয়েছে। আগামী যেকোন সময়ের তুলনায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এখন অনেক সুসংগঠিত উল্লেখ করে বলেন আওয়ামীলীগে কোন বিভেদ নেই ,তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে শেখ হাসিনা যাকেই যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিবেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
