6.7 C
New York
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বগুড়ায় মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

সংগীতা সরকারঃ বগুড়া শেরপুরে লাশের চোরাকারবারি চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় তাদের কাছে থাকা চারটি ব্যাগে মাথার খুলি, পা, হাতের ও কোমড়ের হাড়সহ মানবদেহের ৪৪০টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত দু’জন হলেন- জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে মো. রাশেদ মিয়া (২৪) ও একই উপজেলার পশ্চিম গামারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে বেলাল হোসেন (২৮)। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা বটতলা এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা লাশের চোরাকারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরা বিভিন্ন কবরস্থান থেকে মানবদেহের কঙ্কাল চুরি করে বিক্রি করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কঙ্কালগুলোর বিভিন্ন অংশ বিশেষ চারটি স্কুল ব্যাগে ভরে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা উপজেলার ঘোগা বটতলা নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায় । একপর্যায়ে ঢাকাগামী একটি বাস আটকে তল্লাশিকালে ব্যাগভর্তি কঙ্কালসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। দুপুর পর তাদের থানায় সোপর্দ করার পাশাপাশি মামলার এজাহার দাখিল করেন তারা।
শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই মানবদেহের কঙ্কাল চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এরমধ্যে রাশেদের শ্বশুড়বাড়ি শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামে। সে কারণে তার সহযোগী বেলালকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে শশুরবাড়িতে আসে। সেখানে রাত্রীযাপন করে পরদিন বুধবার ভোরে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় গিয়ে কঙ্কালগুলো সংগ্রহসহ ব্যাগভর্তি করে শেরপুর বাসটার্মিনালে এসে বাসে উঠে কঙ্কালগুলো নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছে চারটি ব্যাগ ছিল। সেসব ব্যাগে মাথার খুলি, পা, হাতের ও কোমড়ের হাড়সহ মানবদেহের ৪৪০টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশকয়েকজন ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এজন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী ওই চক্রের অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনা হবে। উক্ত ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

error: Content is protected !!

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading