
আকাশ সরকার: রাজশাহী:রাজশাহী জেলার কাটাখালী থানার অন্তর্গত (আরএমপি)
চারঘাট উপজেলাধীন ১ নং ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড বেলঘরিয়ার সাবেক মেম্বার নাজিমুদ্দিন সাহাজাদা। ২০১৬ সালে অর্থ আর পেশীশক্তি দিয়ে একতরফা ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গড়ে তোলে ত্রাসের রাজত্ব।মাদক,থেকে শুরু করে জমির দালালী,বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা সহ অনেক অবৈধ কাজ চলমান রাখেন।তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনরা মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত।তাদের নামে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে।এবার আশা যাক তার পরিবারের কথায়, সব ভায়ের নামে অন্য মানুষের বয়স্ক ভাতার টাকা ঢোকে।নাজমুল হক বাদশা মহরী,,নিজামউদ্দীন রাজা,চান্দু মহরী, সুরুজ আলী,, সাহাজাদার স্ত্রী বেবী বেগম এর নামে সরাসরি বয়স্ক ভাতার টাকা এ পর্যন্ত উত্তোলন হচ্ছে।এভাবেই লোপাট ও বিলীন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের স্বপ্ন। তিনি মেম্বার থাকা অবস্থায় এমন অনেক কাজ করেন যেগুলোর জন্য বঞ্চিত হয়েছে অনেক অসহায় ও গরিব মানুষ। একাধিক ভিজিডির কার্ড সহ ১০০ দিন কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতার টাকাও তিনি সুকৌশলে লোপাট করেন।নিজ পরিবারের সুস্থ সবল মানুষকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে, সুকৌশলে প্রতিবন্ধী বানানোর দালিলিক প্রমাণও আছে সাহাজাদা মেম্বার এর বিরুদ্ধে।
দূর্নীতিবাজ সাহাজাদা মেম্বার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বেলঘরিয়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের চাঁদা, অনুদান,অর্থ আদায়, উন্নয়ন, দ্বায়িত্ব ও দীর্ঘ ১৪ বছরের সভাপতি ছিলেন, শাহাজাদা মেম্বার এর বড় ভাই বাদশা মহরী,, সেসময় মসজিদের অধীনস্থ মাদ্রাসা চালু তো দূরের কথা,, আমবাগান গোপনে তার ছোটভাই নিজামউদ্দিন রাজার নামে ১০ বছরের জন্য টেন্ডার করে দেয় শুধু মাত্র ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।কিন্তু কমিটির অন্য সদস্যের অনুপস্থিতিতে লুকিয়ে ছাপিয়ে গোপনে টেন্ডার দেওয়া হয়। দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও এই ১ লক্ষ টাকাও মসজিদ কোষাগারে জমা পড়েনি।মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ/ক্যাশিয়ার এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রথম শ্রেণীর অফিসার জনাব হাসান আলী(০১৭৭০-৬৫২০৭৭)এই মাদ্রাসার টেন্ডার এবং টেন্ডারের ১ লক্ষ টাকার বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।ভোটে ফেল করার পর গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়াই তরিঘড়ি করে বাদশা মহরী মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা প্রদান করেন কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছরের কোন হিসাব পত্র আয় ব্যায় বুঝিয়ে দিতে পারেননি।
পশ্চিমপাড়া সমাজ প্রধান জনাব সাইফুল ইসলাম এর(০১৭৪০৫৬৫৪৭০)এই নাম্বারে জানতে চাইলে, টেন্ডার এর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু আমবাগান রাজা ভোগদখল করে রেখেছেন এটা নিশ্চিত করেন।তিনি আরো মন্তব্য করেন মাদ্রাসার আমবাগানে প্রতি বছর কমপক্ষে ৪০/৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করা সম্ভব। কিন্তু কিভাবে তারা এই অনৈতিক কাজ করলো তা আমার বোধগম্য নয়।তিনি এ বিষয়ে নিন্দা জানান এবং বিচার দাবী করেন।
এই বিষয়ে বর্তমান মেম্বার জনাব রিংকু আহমেদ টপল এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এই ঘটনার সত্যতা আছে বলে স্বীকার করেন এবং বলেন ১০ বছরের জন্য কোনদিন সরকারী মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মের জন্য উৎসর্গকৃত সম্পত্তি এভাবে আত্মস্বাত লুটপাট তিনি আগে কখনো দেখেননি!এই বিষয়ে আমি বিগত চেয়ারম্যান সফিউল আলম রতন হাজী সাহেব কে বিষয়টি অবগত করার কারণে মসজিদে তার উপর সাহাজাদার ভায়েরা চড়াও হয় পরে স্হানীয় মুসুল্লি গন আমাকে বাঁচায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর প্রতি আমার অনুরোধ এই বিষয়গুলো যেন সাংবাদিক ভায়েরা দেখেন সত্য জনগণের সামনে তুলে ধরার ও আহবান জানান এ মেম্বার। তিনি আরও বলেন আমি নিজে সাহাজাদার হিংসার স্বীকার হয়েছি অনেকবার। আমাকে মিথ্যা ভাবে মার্ডার কেসের আসামি করা হয়। আমাকে মিথ্যা ভাবে চুরি ডাকাতির মামলায় ফাসানো হয়।অনেক দিন জেল পর্যন্ত খেটেছি এই সাহাজাদার জন্য।
সাবেক মেম্বার শাহাজাদা
নিজের সম্পত্তি তে সরকারি পানির পাম্প বসিয়ে নিজেও সুবিধা নিচ্ছেন না,কিন্তু এতে কোন মানুষের উপকারও হয়না। এলাকাবাসী এবিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
এ বিষয় এ সাবেক মেম্বার সাহাজাদাকে মুঠো ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি