
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রচারে ব্যাবহৃত অধিক আয়তনের ব্যানার অপসারণের সময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দাবি, গণহারে নৌকার প্রতীকে ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ওই ব্যানার ফেস্টুনে প্রধানমন্ত্রী, মেয়র প্রার্থী এবং নৌকা প্রতীকের ছবি ছিল যা পদদলিত করেছে প্রশাসন। এতে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ক্ষুদ্ধ হন। এনিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
মহাগনর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার বলেন, ভুল বুঝাবুঝির কারণে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
তবে প্রশাসনের দাবি এমন কিছুই হয়নি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একজন প্রার্থীর ব্যানার নির্বাচনী প্রচারে ব্যাবহৃত নির্ধারিত ব্যানারের আয়তনের চাইতে বেশি ছিল। তাই আমরা প্রার্থীর লোকেদের সাথে নিয়েই ওগুলো নিয়ম মেনে সরিয়ে নিচ্ছি। প্রার্থীর সমর্থকরা না জেনেই এসব বলছেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, কোন প্রার্থীর প্রচার সামগ্রী নির্ধারিক আয়তনের বেশি হলে তা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
অপরদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পাঁচ প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার বিকেল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এসময় আচারণবিধি ভেঙ্গে প্রচার-প্রচারণা চালানোর দায়ে পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থীকে চার হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রচার-প্রচারণায় একাধিক মাইক ব্যবহারের দায়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমানকে ৫০০ টাকা, অনুমোদনহীন শব্দ যন্ত্র ব্যবহারের দায়ে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রুহুল আমিন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবলী রহমানকে ৫০০ টাকা, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করার দায়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আব্দুল মোমিনের ৩০০ টাকা ও রাস্তা বন্ধ করে প্রচারণা চালানোর দায়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জেসমিনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাবিহা সুলতানা বলেন, জরিমানার পাশাপাশি বেশকিছু প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।