13.2 C
New York
সোমবার, মে ২০, ২০২৪
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

পুঠিয়ায় মাই টিভি’র নাম ভাঙানো ভুয়া সংবাদিক কারাগারে

রাজশাহীর পুঠিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির নাম ভাঙিয়ে দ্বিতীয় দফায় চাঁদার টাকা গ্রহণকালে এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়ার পর থানা পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এক ভুয়া সাংবাদিককে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া আদিবাসী পল্লী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিলমাড়িয়া এলাকার আদিবাসী পল্লীতে তিন যুবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঢুকে তাদের কয়েকজনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে গত এক সপ্তাহ আগে উক্ত এলাকা থেকে টাকা হাতে নিয়ে চলে যায়। গতকাল আবারো টাকা নেয়ার উদ্দেশ্যে আদিবাসী পল্লীতে ঢুকে তাদের অনেকের কাছে বিভিন্ন ভাবে টাকা দাবি করতে থাকে। পাশাপাশি আদিবাসীদের প্রলোভন দেখায় তাদেরকে দেশীয় চোলাই মদ বিক্রি করার লাইসেন্স করে দিবে তারা। পরে টাকাও দাবি করে তাদের কাছ থেকে। বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় কাউন্সিলর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারগুলো। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের আটক করে জানতে চায় তারা কোথায় সাংবাদিকতা করে। সময় দুজন পালিয়ে গেলেও মোঃ বুলবুল খাঁন (৪২) পিতা মোঃ কফিল উদ্দিন, গ্রামঃ গুনগাতি বাগান বাড়ি, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জকে আটক করতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় সে মাই টিভির সাথে কোনোভাবেই জড়িত নয়।

সময় তার কাছ থেকে ভুয়া মাই টিভির আইডি কার্ড একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বুলবুল খান পুঠিয়া উপজেলার কানাইপাড়া  এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে তিনি আর এখানে থাকেন না। বুলবুল সিরাজগঞ্জ হারবাল ওষুধের ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়। বিলমাড়িয়া আদিবাসী পল্লীর নরেন হাজদা পিতা নগেন হাজদা, রনজিৎ মাড্ডি, পিতা কমল মাড্ডি এদের কাছ থেকে হাজার করে এবং অপর জন নয়ন মুর্মু, পিতা সরকার মুর্মু এর কাছ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা জোরপূর্ব নেয়া হয়।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নরেন হাজদা বলেন, গত সপ্তাহে এসে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছে। আজ আবার এসেছে টাকা নিতে, টাকা না দিলে আমাকে হ্যাণ্ডকাফ পরিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবে বলে ভয় দেখিয়েছে তারা।

আরেকজন ভুক্তভোগী রনজিৎ মাড্ডি বলেন, রাতের বেলা ওরা তিনজন এসে আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে মদের লাইসেন্স করে দেবে বলে হাজার টাকা করে টাকা চাচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ কিভাবে টাকা দিব। পরে আমি কাউন্সিলর সহ স্থানীয় লোকদেরকে জানাই।

নয়ন মুর্মু বলেন, আমার ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল আমি ভয়ে ৫শ টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাই টাকা দিয়েছি।

বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সান্টু ইসলাম বলেন, আমার কাছে ওই আদিবাসী পল্লীর কিছু লোকজন জানিয়েছিল সাংবাদিক নাম করে কয়েকজন এসে টাকা নিয়ে যায়। রাতে আবার শুনি ভুয়া কিছু সাংবাদিক এসে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে টাকা চাচ্ছিল। সে সময় সন্দেহ হলে এলাকাবাসী ধরে আটক করে। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কথা বলে জানতে পারলাম যে তারা আসলে মাই টিভির কোন সাংবাদিক নয়। পুলিশ এসে তাদেরকে নিয়ে চলে গেছে।

বিষয়ে রাজশাহীর দায়িত্বে থাকা মাই টিভির সাংবাদিক মোঃ ফয়সাল শাহরিয়ার (অন্তুু) বলেন, রাজশাহীতে আমি মাইটিভির প্রতিনিধি। যে ব্যক্তি ভুয়া কার্ড বের করে দেখিয়েছে আর চাঁদা দাবি করেছে তাকে এলাকাবাসী ধরে পুলিশে দিয়েছে। পরে আমি থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি।

পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন,  বুলবুল খাঁন নামের এক ব্যক্তির কাছে একটি ভুয়া মাই টিভি কার্ড পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
আজকের রাজশাহী
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বিনোদন

- Advertisment -spot_img

বিশেষ প্রতিবেদন

error: Content is protected !!

Discover more from News Rajshahi 24

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading