রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কর্মী নয়লাল উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’ ব্যানারে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ওই রাজনৈতিক কার্যালয়ের এলাকায় একটি পশু ঢুকলেও অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেখানে নয়লাল কীভাবে প্রবেশ করলেন? আর কেনই বা তার মরদেহ ম্যানহোলের ভেতরে পড়েছিল? তাই খুব সহজেই বোঝা যায় এটি স্পষ্ট একটি হত্যাকাণ্ড। এর দায় এমপি ফারুক এড়াতে পারেন না। কারণ তিনি এই কার্যালয়েই বসেন।’
তারা আরও বলেন, ‘কলেজশিক্ষক থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ মানুষও এই রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু নয়লালের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে এমপি সাহেব নিশ্চুপ কেন? তাকে অবশ্যই নয়লালের এমন মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি করা প্রয়োজন।’ বক্তারা এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের ম্যানহোল থেকে নয়লাল উদ্দিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বোন কুলসুম বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মরদেহ পড়ে থাকার স্থানগুলোর সিসি ক্যামেরা নষ্ট ছিল বলে সংসদ সদস্যের কার্যালয় থেকে পুলিশকে জানানো হয় বলে জানা গেছে।
সংসদ সদস্যের কার্যালয়ের পশ্চিম দিকে একই সীমানা প্রাচীরের ভেতরে আরেকটি একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এটির নাম থিম ওমর প্লাজা, এর প্রথম থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত শপিংমল। আর সপ্তম থেকে দশম তলা পর্যন্ত অ্যাপার্টমেন্ট। ভবনের ১০ তলার একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-রাজশাহী নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুজ্জামান শফিক, রকি কুমার ঘোষ, মাহমুদ হাসান রাজীব, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব প্রমুখ।