গোপালগঞ্জে একসঙ্গে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভাসুর হারুন মীনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকা থেকে হারুনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে মা ও মেয়েকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার হারুন একই এলাকার বাসিন্দা।
নিহত বিউটি বেগম (৪০) দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মিনার স্ত্রী ও লামিয়া (১৬) তাদের মেয়ে। লামিয়া জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমির এসএসসি পরীক্ষার্থী।
গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর মো. আশরাফ হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর সটকে পড়েন অভিযুক্ত হারুন। তিনি কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকায় মধুমতি নদী পার হয়ে পালাবেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে গোপালগঞ্জ সদর থানা জেলহাজতে পাঠানো হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রটিও।
প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে দুলা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন ভাতিজি লামিয়া (১৬)। এ সময় বড় চাচা হারুন মীনা ভাতিজী লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। ভাতিজী না সরায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে বড় চাচা হারুন মিনা তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা বিউটি বেগম এবং লামিয়াকে কুপিয়ে জখম করেন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।