
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নৈতিক স্খলনজরিত কারণে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা এবং সম্প্রতিক এ কমিটির ঘোষণাকৃত বাগমারা উপজেলা কমিটি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
এর আগে বুধবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। অপর দুইজন হলেন, জেলা ছাত্রলীগের ১নং সহসভাপতি রাসেল আহমেদ ও ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত।
মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে আপন দাস বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এটি নিয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে কী সুপারিশ করা হয়েছে তা পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সমস্ত তথ্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ১নং সহ-সভাপতি, ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক যে সকল কর্মকান্ডে জড়িত তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের সাথে চরম মাত্রায় সাংঘর্ষিক।
এমতাবস্থায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট এদের দ্বারা পরিচালিত হলে সংগঠনের ভাব-মূর্তি চরম ভাবে বিনষ্ট হবে; যা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সুতরাং তাদের স্থায়ী বহিস্কারের জোর সুপারিশ করছি।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার নারী কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের একটি অডিও এবং সাধারণ সম্পাদকের ফেনসিডিল সেবনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি ঘটনা ছাড়াও সভাপতি-সম্পাদকের নানা কর্মকান্ড নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
কমিটিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস ও সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহকে রাখা হয়। তারা রাজশাহী এসে সরেজমিন ঘুরে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার মুঠোফনে একাধিরবার যোগাযোগ করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি দাবি করেছেন তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।