
নিউজ রাজশাহী ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতন, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান মেরাজ। এই সময় শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য নাজিমুদ্দীন, সালাম শেখ, নজরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে শ্রমিক মিজানুর রহমান মেরাজ বলেন, ২০১৯ সালে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের পর থেকেই তিনি আমাদের মত সাধারণ শ্রমিকদের নানান ভাবে বঞ্চিত, হয়রানি, অধিকার থেকে বঞ্চিত ও শ্রমিকদের জমি ও বিল্ডিং বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এসবের প্রতিবাদ করলে তাদের কে হুমকি ধামকি দিয়ে চুপ থাকতে বলে। যারা মুখ খুলে তাদের সদস্য পদ স্থগিত করে দূরে রাখে। আমরা ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবাদ করায় আমাদের সদস্য পদ স্থগিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
এছাড়াও মোটর শ্রমিক ইউনয়ন এর সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বেআইনীভাবে আনুমানিক ৭০০ কার্ড বিক্রয় করে ২১ লক্ষ টাকা আত্যসাৎ।
রাজশাহী বাইপাস সংলগ্ন ললিতাহার মৌজার বাংলায় ১৯ কাঠা ১২ পয়েন্ট বিক্রয় করে ১৬ কাঠা জমি বিক্রয় করলাম বলে ১ কোটি ৬০ লক্ষ বলে চালানো।। রাজশাহী শিরোইল বাস টার্মিনাল এর পাশে মেইন রোড সংলগ্ন শিরোইল মৌজা এক তলা আরসিসি পাকা বিল্ডিং করা ও জমির পরিমাণ ০৯৭৭ শতাংশ ১ কোটি টাকায় বিক্রয় করেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী কিন্তু বর্তমান বিল্ডিং ও জমির মূল্য ৮কোটি টাকা তা একক ভাবে আত্যসাৎ করেন।
মাহাতাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোটি টাকার অধিক আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলা চলমান আছে।
৩ বৎসরে ৫ কোটি ৪৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় থাকলেও শ্রমিকরা শিক্ষা, ভাতা কন্যাদায় মৃত্যু কালীন টাকার অধিকার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বঞ্চিত এবং সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী নিজস্ব রিলেটিভ শ্রমিক সদস্যদের মাঝে স্বজন প্রিতি করে থাকেন এবং গুন্ডা মাস্তানদেরকে অর্থ দিয়ে শ্রমিকদেরকে শাসন ও নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তুলেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মাহাতাব চৌধুরী বলেন, যারা এসব অভিযোগ তুলছেন তা সঠিক নয়। আমি নেতৃত্বে আসার পর কোন কিছু আত্মসাৎ করেনি। বরং আমি নেতৃত্বে আসার পর শ্রমিদের সুখে দু:খে পাশে থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের উপকার করে এসেছি।