আকাশ সরকারঃ রাজশাহী কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনের অতিরিক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলালের অজানা কারণে বহিষ্কৃত সাবেক মেয়র আব্বাস এর স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা মিতুকে অবৈধভাবে মনোনয়ন ফরম দেওয়ার অভিযোগ। যেখানে (৮ এপ্রিল) সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল, দলমত নির্বিশেষে সাত জন মেয়র প্রার্থী।
সোমবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে উপনির্বাচন কর্মকর্তার আজাদুল হেলালের অফিসে সশরীরে হাজির হোন মেয়র প্রার্থীরা জানতে চান অবৈধ ভাবে কেনো মনোনয়ন ফরম দিলেন?
তখন অতিরিক্ত রিটানিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল বলেন, হাইকোর্ট এর অর্ডার এ রাবেয়া সুলতানা মিতু কে মনোনয়ন ফরম দেওয়া হয়েছে।
তখন সাত জন মেয়র প্রার্থী হাইকোর্টের অর্ডার দেখতে চান কিন্তু হাইকোর্টের অর্ডার দেখাতে বার্থ হয়েছেন আজাদুল হেলাল এবং সাফাই গাইতে শুরু করেন, তর্ক বিতর্ক চলার এক পর্যায়ে উপ রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল স্বীকার করেন আমার ভুল হয়েছে আমার চাকরি জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি, এখন কি করলে এ ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবো। (যার ভিডিও সাংবাদিকের কাছে সংরক্ষিত আছে)
ছয় জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা প্রত্যাহার করেন নাই।
একনজরে দেখা সাত জন প্রার্থীর চুরান্ত স্বাক্ষরিত অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আজাদুল হেলাল স্বাক্ষরিত, যেখানে নতুন করে কেউ মনোনয়ন উত্তোলন করতে পারবেন না।
মজার বিষয় হচ্ছে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার আজাদুল হেলালকে সাংবাদিক প্রশ্ন করলে বলেন: সাতজন প্রার্থী স্বাক্ষরিত সই আমার কিন্তু তিনি পরক্ষনে বলেন আট জন প্রার্থী, সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন সাত জন প্রার্থী তাহলে আটজন বললেন কেনো? কথাটা ভুল করে বেরিয়ে গেছে আজাজুল হেলাল।
তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ডাকা হয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম প্রামানিক কে তিনিও সাংবাদিকদের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বরং নিজের সাফাই গেয়েছেন।
শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক ও আজাদুল হেলাল সাংবাদিকদের জানান উক্ত বিষয় টি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জানানো হবে দেখা যাক কি করা যায়।