
দেওয়ান সাব্বিরঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক দৌলতপুর গ্রামের এক লম্পট হুজুরের পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ঘটনায় নির্যাতিতা স্ত্রী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় নারী শিশু দমন আইনে মামলা করেন। পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলা চাক দৌলতপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে হুজুর আবু সাঈদের সাথে পার্শ্ববর্তী হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নে গঙ্গারামপুর গ্রামের দিন মজুর শাহিন মন্ডলের কন্যার সাথে ৭ বছর আগে দেড় লাখ টাকা দেন মোহরে অনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। বিয়ের পর খুশি হয়ে শশুর সাহিন মন্ডল, একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন জামাই আবু সাইদকে । চতুর জামাই মোটরসাইকেল পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলিতে কারিয়ানা পরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। তাদের বিয়ের দুই বছর পর একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে কারিয়ানা পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে হুজুর আবু সাঈদ। পরে স্ত্রী সহ পরিবারের সবাই জানতে পারে, আবু সাঈদের পরকীয়ার কথা। স্বামী আবু সাঈদ কে জিজ্ঞাসা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের লোকজন সবাই মিলে স্ত্রীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। স্ত্রী সুস্থ হয়ে দৌলতপুর থানায় স্বামী শশুর শাশুড়ি নামে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার জি,আর মামলা নং ২৩/৯/৪/২২ ধারা ২৭৪/২২। এই মামলায় হুজুর আবু সাঈদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে শ্বশুর বাড়ির লোক চেয়ারম্যান সহ আরো গণ্য মান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের মাধ্যমে ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্পের উপর হুজুর আবু সাঈদ সই করে এবং তাদের সামনে বলে আমি আর কারো সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াবো না আর আমার স্ত্রী সন্তানকে নির্যাতন করবো না এ লিখিত নিয়ে হুজুর আবু সাঈদ কে স্ত্রী শান্তা জামিন করে আনে।কিন্তু জামিনে বের হয়ে হুজুর আবু সাঈদ কিছুদিন ভালো থাকার পর আবার পুনরায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করে। এই পর্যায়ে দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন এক সালিশের মাধ্যমে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা করে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বহাল তাবিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন হুজুর আবু সাঈদ। এর সুষ্ঠু বিচার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছেন তার স্ত্রী শান্তা, তার সন্তান এবং শান্তার পরিবার। এ বিষয় এ আবু সাইদ এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিক বার ফোন দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করনায়