সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, শাহাতৎ হোসেন:- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আপনারা জানেন ৮০’র দশক থেকে এই এলাকার কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা এ এলাকায় ঘাটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে “সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি” স্লোগানে সর্বহারা চরমপন্থীরা আলোর পথে ফিরে আসে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তখন যেমন সবাইকে পুনর্বাসন করেছিলেন তেমনই আজকেও আমাকে আসার আগে বলেছেন, আপনারা যারা আজ আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে ফিরে আসছেন তাদের আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সার্বিক ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।’
আজ রবিবার (২১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ সদর দপ্তরে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল), লাল পাতা ও সর্বহারাসহ বেশ কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩১৫ সদস্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি অপরাধীদের হুশিয়ার করে বলেন, ‘কেও যদি মনে করেন আমরা দূর্গম এলাকায় বসে থাকব, অপরাধ করব আর আপনারা ধরতে পারবেন না তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিপথগামীদের ফেরাতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পর্যন্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘র্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে যাচ্ছে, আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। র্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নানান মানবিক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার চরমপন্থী নেতা ও সদস্যদের অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরাতেই র্যাবের উদ্যোগে এমন আয়োজন।’
র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাব-১২ অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে.এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
